সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দুর্নিবার অগ্রযাত্রা রুখে দিতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়ক বেয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এটা অনেকেরই সহ্য হবে না বা হচ্ছে না। দেশ-বিদেশে বসে বাংলাদেশবিরোধী ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি তাই এই অগ্রযাত্রা রুখে দিতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে। মিথ্যা-বানোয়াট-কাল্পনিক তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

বিদেশে আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে। কেউ যাতে মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেদিকে আমাদের সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। আমাদের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে কোনোভাবেই ব্যাহত হতে দেয়া যাবে না। এসময় বর্তমান সরকার বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর আরও বলেন, আমাদের বর্তমান এবং আগামী দিনের সব কার্যক্রমের লক্ষ্য হচ্ছে নতুন প্রজন্মের জন্য একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ। অফুরন্ত জীবনীশক্তিতে বলীয়ান তরুণ প্রজন্মই পারে সব কূপমণ্ডূকতা এবং প্রতিবন্ধকতা দূর করে একটি প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে।

 

যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তারুণ্যের শক্তিই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে পারবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম মাথা উঁচু করে ভবিষ্যতের পানে এগিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ পারস্পরিক সহনশীলতা বজায় রেখে বসবাস করে আসছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন।

 

তিনি বলেন, জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনসহ আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে এই মুহূর্তে শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে।

মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত ১১ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে শান্তিপূর্ণভাবে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কক্সবাজারে বিভিন্ন ক্যাম্পে তাদের কষ্ট লাঘবে ভাসানচরে ১ লাখ মানুষের বসবাস উপযোগী উন্নতমানের অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে।