বিকল্প পথে সূক্ষ্ম কৌশলে পরীমণির আইনজীবীরা

 

 

বিনোদন ডেস্ক : বিকল্প পথে হাঁটার পরিকল্পনা নিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণির আইনজীবীরা। এক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন ‘টেকনিক’ অবলম্বন করছেন। যেমনটা ১ দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল শনিবার (২১ আগস্ট) পরীমণিকে আদালতে হাজির করা হলে তার জামিন চাওয়ার সুযোগ থাকলেও তারা চাননি। এখানে তারা একটি সূক্ষ্ম টেকনিক অবলম্বন করেছেন বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ইঙ্গিত মিলেছে- খুব সহজে জামিন হচ্ছে না এই নায়িকার। তবে দ্রুত জামিন করাতে তার আইনজীবীরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

 

জামিন না চাওয়ার সেই টেকনিক্যাল কারণ কী ছিলো?
এমন প্রশ্নে উত্তরা জানতে চাইলে পরীমণির আইনজীবী মুজিবর রহমান বলেন, ‘সেশন কোর্টে যেতে হলে নিম্ন আদালতে সর্বশেষ আদেশের প্রয়োজন হয়। যদিও আমরা গতকাল শুনানি করতাম, তাহলে ওটাই হতো সর্বশেষ আদেশ। যে কারণে ওই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে সেশন আদালতে যেতে হলে আমাদের আরও সময় লাগতো। অন্তত দুই দিন লেগে যেত। যে কারণে আমরা গতকাল জামিন চাইনি। তাই এখন পর্যন্ত আমাদের জামিন চাওয়ার সর্বশেষ তারিখ ছিলো গত ১৯ আগস্ট।’

 

সে হিসেবে নির্ধারিত তারিখের পরের দিন আজই আমরা সেশন আদালতে জামিনের জন্য আবেদন জানানোর সুযোগ পেয়েছি। সময় বাঁচানো এবং পরীমণির দ্রুত জামিনে জন্যই আমরা এই টেকনিকটা অবলম্বন করেছি। আমরা পরীমণির আইনজীবী, ওনার ভালোই চাই, সে হিসেবে আমরা ওনার জন্য আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। তবে গতকাল পরীমণি না বুঝেই আমাদের ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন।

 

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় নায়িকা পরীমণির জামিন আবেদন করেছেন আইনজীবী। জামিন বিষয়ে শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ রোববার (২২ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে তার জামিন আবেদন করেন আইনজীবী মুজিবুর রহমান। পরীমণির আইনজীবী মুজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গতকাল শনিবার (২১ আগস্ট) মাদক মামলায় তৃতীয় দফায় রিমান্ড শেষে পরীমণিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

 

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট পরীমণিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র‍্যাব। অভিযানে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয় বলে দাবি করে তারা। তার ড্রয়িংরুমের কাবার্ড, শোকেস, ডাইনিংরুম এবং বেডরুমের সাইড টেবিল ও টয়লেট থেকে বিপুল মদের বোতল উদ্ধার করা হয় বলেও দাবি করা হয়। পরদিন বিকেলে পরীমণি, প্রযোজক ও অভিনেতা মো. নজরুল ইসলাম রাজ এবং তাদের দুই সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপু ও মো. সবুজ আলীকে বনানী থানায় সোপর্দ করে র‍্যাব। এরপর র‍্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে।