কুর্তা- ফতুয়ায় গরমে আরাম

সৈয়দা সুলতানা খান নিপা : দুপুরের তপ্ত আবহাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে আরামদায়ক পোশাক। কারণ বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি মিললেও ভ্যাপসা গরম কিন্তু এবার ঠিকই আছে। তাই এই গরমে পোশাকের তালিকায় রাখুন কুর্তা বা ফতুয়া। যা আরামের সাথে স্বস্তি দিবে। আর করোনা মহামারির এই সময় বাইরে থেকে ফিরে কাপড় ধুয়ে ফেলা খুব জরুরি। কুর্তা বা ফতুয়া মানিয়ে যাবে দিনে ও রাতে দুই সময়েই।

সবার মুখে এখন একটাই কথা খুবই গরম এবার। তার সাথে যুক্ত হয়েছে মাস্ক। যা ফলে গরম আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে গরম। আর সবকিছু মিলিয়ে চাই ঢিলেঢালা,আরামদায়ক আর নরম কাপড়ের কিছু। যা চোখে দেখেও শান্তি মিলবে। মানিয়ে যাবে হালকা কালারগুলো। সবসময়ের এই চলতি ধারাগুলো আপনাকে এনে দেবে ব্যস্ততায় সাথে স্বস্তি। কুর্তা-বা ফতুয়া আগের মতো এখনো অনেক জনপ্রিয় এর স্টাইলে আর আরামের জন্য।

একটা সময় গায়ের সাথে লেগে থাকা পোশাক বেশ জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু আধুনিক এই যুগে আবারো সেই ঢিলেঢালা পোশাকেই স্টাইলিশ খুজে নিচ্ছে সব বয়সের রমনীরা। তবে হাতের কাজের সাথে যুক্ত হয়েছে ব্লকপ্রিন্টের পোশাকের। টপ বা ফতুয়া প্যান্টের সাথেও ভালো মানায়। তবে এই ফ্যাশন ধারায় টেইলরড প্যান্টের চাহিদাও বেড়েছে অনেক। আবার টপের সাথে সুতি কাপড়ের প্যান্টগুলো স্টাইলে আনে ভিন্নতা। চলতি ধারার অন্যতম আকর্ষণ হলো একটিু বড় আকারে শার্ট।

এটা এমন যে পেছনে একটু লম্বা, সামনের তুলনায়। তবে হাতাগুলো থাকবে চাপা। এই পোশাকে মানাবে টেইলরড অথবা জিনসের প্যান্ট সাথে। গরমে পরার জন্য সুতির হ্যান্ডলুমের পোশাকই ভালো। গরমের সময় ন্যাচারাল কালার ডাইয়ের পোশাক পরা উচিত। গরমের সময়ে চোখের প্রশান্তি দেবে নীল রং। এর সাথে গরমে আসবে ভালো লাগার অনুভূতিটা। টপের চাইল জামদানির কাপড়ও ব্যবহার করা যায়। এতে ফ্যাশনে আসে ভিন্নতা। অনেক পোশাক দু-তিনবার ধোয়ার পর রং উঠে যায়। গরমের সময় দেখা যায় ঘামে শরীরে পোশাক আটকে যায়। পোশাক খোলার পর দেখা যায় শরীরেও রং লেগে রয়েছে। এই রং রোমকূপ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করলে চর্মরোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।